খেজুরের গুড়
“খেজুর গুড় অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার”
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টিজাত খাদ্য পুরো মৌসুমজুড়ে আপনার রান্নাঘরে নিয়ে আসবে স্বাদ ও পুষ্টির নতুন মাত্রা। পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী এই খেজুর গুড়ের কয়েকটি উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন
প্রাকৃতিক মিষ্টির রাজা - খেজুরের গুড়
কেন আমাদের খেজুর গুড় কিনবেন?
- আমাদের খেজুরের খাঁটি গুড় সম্পূর্ণ নিজেদের তত্ত্বাবধানে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে প্রস্তুত করা হয়।
- আমি আবার বলছি “পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়”
- প্রথমে খেজুরের রসকে ভালোভাবে ছেঁকে পরিষ্কার পাত্রে রাখা হয়।
- এরপর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় জ্বাল দেওয়া হয়, যা গুড়ের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে সহায়ক। এতে কৃত্রিম চিনি, রাসায়নিক রঙ, হাইড্রোজ, ফিটকিরি বা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার করা হয় না, ফলে এটি ১০০% খাঁটি ও প্রাকৃতিক।
- গুড় তৈরি শেষে এটি পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় এবং উন্নত প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে আপনার কাছে সুরক্ষিত অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
খেজুর গুড়ের উপকারিতাঃ
১. শক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুর গুড় প্রাকৃতিক শর্করা দিয়ে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগায়। এটি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।
২. রক্ত পরিষ্কার করে
খেজুর গুড় রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়ক। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৩. হজম শক্তি উন্নত করে
এতে বিদ্যমান পটাসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
৪. রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক
খেজুর গুড়ে লোহা (iron) বিদ্যমান, যা হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।
৫. ইমিউনিটি বাড়ায়
খেজুর গুড়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ঠান্ডা-কাশি ও অন্যান্য মৌসুমী রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
৬. ব্রেইন ফাংশন উন্নত করে
খেজুর গুড়ে থাকা গ্লুকোজ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
৭. হাড়ের শক্তি বাড়ায়
এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে।
৮. ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
খেজুর গুড়ে থাকা পুষ্টি উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখে।
৯. ডিটক্সিফিকেশন
খেজুর গুড় লিভার থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সহায়ক, যা পুরো শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
যদিও এটি মিষ্টি, তবে প্রাকৃতিক হওয়ায় শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না।
ব্যবহারের পরামর্শ:
খেজুর গুড় সরাসরি খাওয়া যেতে পারে।
পায়েস, পিঠা বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
দৈনিক অল্প পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর গুড় খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।